শীতের মাঝেও বরিশালের গৌরনদীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ। প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
এবারে পঞ্চম বারের মতো এই পৌরসভায় ভোট হবে। মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী।
নির্বাচনি প্রচারে বিএনপি প্রার্থী বাধার অভিযোগ আনলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলছেন সবই প্রপাগান্ডা।
মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির সাজ্জাদ হান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য ও ভোটের অধিকারের জন্য। এখন সেই ভোটের অধিকার নির্বাসনে গেছে।
‘বিগত নির্বাচনে যেমন দেখেছি আগের রাতে ভোট হয়েছে, এবারও আমি সেই আশঙ্কা করছি। সরকারের কাছে আমি আহ্বান জানাব, স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে তারা যেন মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়।’
তবে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘টরকি বন্দরে আমার প্রচার মাইক ঢুকতে দেয়া হয়নি। গেড়াকুলে আমার লোকজন প্রচারে নেমেছিল তাদের নানাভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গৌরনদীতে নির্বাচনি সভা করতে না পেরে বরিশাল নগরীতে গিয়ে সভার আয়োজন করলে সেখানেও হামলা চালিয়ে আমাদের ভয় দেখানো হয়েছে।’
ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান। ছবি: নিউজবাংলা
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান বলেন, ‘তিনি আগাম পরাজয় অনুধাবন করে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তারা প্রচার করতে পারছে না বা যেতে পারছে না এমন মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে বিএনপির প্রার্থী। উন্মুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচন হবে।’
হারিছুর আরও বলেন, ‘এখানে যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন তিনি নেতাকর্মী শূন্য, জনশূন্য। নিজের কর্মের কারণে তিনি এখন এই অবস্থায় রয়েছেন। তিনি জনগণের কাছে যেতে পারছেন না, ভোট চাইতে পারছেন না। জনগণ তাকে সমূলে পরিত্যাগ করেছে।’
গত দুই বারের মেয়র হারিছুর জানান, তার সময় গৌরনদীর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার যে চলমান উন্নয়ন কাজ রয়েছে এবার নির্বাচিত হয়ে সেগুলো শেষ করতে চান।
জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নূরুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, প্রার্থীদের কাছ থেকে তিনি এখনও কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৯৯৯ সালে গৌরনদী পৌরসভা গঠিত হয়। ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৪০৮ জন। তাদের মধ্যে নারী ১৬ হাজার ৬০৯ জন ও পুরুষ ১৬ হাজার ৭৯৯ জন।