বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ বছর পর ধামইরহাটে আবার নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:৩০

পৌরসভাটিতে মোট ভোটার ১২ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ২২৭ এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৪১৩ জন।

প্রায় ১৫ বছর প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভায়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা ও ধানের শীষ। ৩০ জানুয়ারি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে রায় দেবেন পৌর এলাকার ১২ হাজার ৬৪০ জন ভোটার।

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে, চাইছেন নিজের জন্য ভোট।

২০০৪ সালে জোট সরকারের আমলে নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা গঠন হয়। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভায় প্রথম প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল। সেই দায়িত্ব পালনের সময়েই ২০০৬ সালের ৩০ মে পৌরসভাটিতে প্রথম নির্বাচন হয়।

সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুর রহমানকে মাত্র ২৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমিনুর রহমান। কাউন্সিলররা শপথ নিলেও আইনি জটিলতার মেয়র আমিনুর রহমানের শপথ ঝুলে ছিল আরও সাত মাস।

পরে আবার বাড়ানো হয় পৌরসভার সীমানা। তখন স্থানীয় চার আদিবাসী এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের নিষ্পত্তি হয় গত বছরের প্রথম দিকে। এরপরই নির্বাচন কমিশন ধামইরহাটে ভোট নিতে তফসিল ঘোষণা করে।

নির্বাচনে আবারও পুরনো দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের আমিনুর রহমান ও বিএনপির সাবেক পৌর প্রশাসক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

এ ছাড়া মেয়র পদে নারিকেল গাছ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও উমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

পাশাপাশি নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১৭ প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর ধরে আমি পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছি। দলমত নির্বিশেষে মানুষের সেবা করেছি। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে পৌরসভার বাকি রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোড লাইট, আধুনিক পৌর ভবন নির্মাণ ও সুসজ্জিতকরণ করা হবে।’

পৌর এলাকায় দেড়শ সৌরচালিত বাতি বসানোর প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সামনের নির্বাচনেও পৌরবাসীর উন্নয়নে ভোটাররা তাকেই ভোট দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ধানের শীষের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ধামইরহাটবাসীর উন্নয়নে আমাদের পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট হলে বিপুল ভোটে আমি জয় পাব।’

ভোটের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো ও ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ আচরণের জোর দাবি জানান তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উমার ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি মহামান্য হাইকোর্টে পৌরসভার নির্বাচনের জন্য আইনি লড়াই করেছি। তার ফলে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’

তিনি আশা করছেন, পৌরবাসী তার এ শ্রমের প্রতিদান দেবেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৩০ জানুয়ারি ধামইরহাট পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ৩৮টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

পৌরসভাটিতে মোট ভোটার ১২ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ২২৭ এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৪১৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর