লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদের বিনিময়ে পৌরসভা নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বর্তমান মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান রিন্টু।
বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এবারও নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে পরবর্তী সময়ে ভুল বুঝিয়ে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ১৩ তারিখ রাত ৯টার দিকে আমার মনোনয়নটি বাতিল করার সুপারিশ করে। ফলে আমার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘লালমনিরহাটে আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির পরিবার। আমি কখনও নৌকার সাথে বেঈমানী করিনি আর কোনো দিন করবও না। বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বাড়ি এসেছিলেন। তাই নেত্রীর এ সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।’
রিন্টু বলেন, ‘আমি ১০ বছরে যা উন্নয়ন করেছি, তা গত ৫০ বছরে হয়নি, আগামী ৭০ বছরেও হবে না। আমি নৌকা প্রতীক না পেয়ে এবারও নমিনেশন জমা দিয়েছি, তবে সেটি আজ প্রত্যাহার করলাম। আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’
বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসানের কাছে গিয়ে তার মনোনয়নপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী ভোলা।
সভপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হক, জেলা দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল রানা এবং নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম তপনসহ অনেকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট পৌর নির্বাচনে এবারে মেয়র পদে ছয় জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নৌকা প্রতীকের রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু ও অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম তপন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
লালমনিরহাটে যে চার জন মেয়র পদে নির্বাচন করছেন, তারা হলেন আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন, বিএনপির মোশারফ হোসেন রানা, জাপার ওয়াহিদুল হাসান সেনা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমিনুর রহমান।