শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় আচরণবিধি ভেঙে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইদ্রিস মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি শনিবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে ইদ্রিস মিয়া জানান, নির্বাচন বিধি মতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু মিয়া স্বক্রিয়ভাবে জাজিরা পৌরসভার নির্বাচনি প্রচারে নৌকার হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। উসকানিমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকছে না।
ইদ্রিস মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য নির্বাচনি মাঠে থাকায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আমার নির্বাচনি প্রচারণায় নানাভাবে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরে নৌকার ভোট চাইছেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি তিনি পৌরসভার লঞ্চঘাট, কবিরাজকান্দি ও আরাচন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।
‘ইকবাল হোসেন মাঠে থাকায় নৌকার কর্মীরা প্রভাব বিস্তার করছেন। তার সমর্থকরা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন নৌকার প্রতীকের ভোট সামনে দিতে হবে। কেউ না দিলে সেই সেন্টারের ভোট কেটে নেয়া হবে। এতে আমিসহ অন্য মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় আছি, আমরা আতঙ্কিত।’
এ বিষয়ে সাংসদ ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুর হোসেন খান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস মিয়া লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুকে অনুরোধ করে নির্বাচনি এলাকায় আসতে নিষেধ করেছেন। আশা করি এই বিষয়ে আর কোন অভিযোগ পাওয়া যাবে না।’
নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সবাইকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধও জানান এই কর্মকর্তা।
৩০ জানুয়ারি জাজিরা পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে।
সেখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হক কবিরাজ, ধানের শীষের বিএনপির মাজহারুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সেকান্দার আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস মিয়া ও সাবেক মেয়র আবুল খায়ের ফকির লড়ছেন।
পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৯৯ ও পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৭৫৯ জন।