বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউন্সিলর হতে চান ভিক্ষুক সমিতির সাবেক সভাপতি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০৬

ব্রিজের নিচে ঝুপড়ি ঘরে আব্দুল হালিমের নির্বাচনি ক্যাম্প। এলাকার লোকজনের খরচে চলছে তার প্রচারকাজ। ব্রিজ প্রতীক নিয়ে নকলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন ভিক্ষুক হালিম।

শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে নকলা শহরের প্রবেশমুখের ব্রিজের নিচে একটি ঝুপড়িতে নির্বাচনি ক্যাম্প। পাশেই ভোটারদের চা আর মুড়ি ভর্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন আকলিমা বেগম।

ক্যাম্পটি আকলিমার স্বামী আব্দুল হালিমের। শেরপুরের নকলা পৌরসভার নির্বাচনে এবার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আব্দুল হালিম।

তিনি ওই এলাকার একজন ভিক্ষুক। ছিলেন উপজেলা ফকির সমিতির সভাপতিও। ব্রিজের নিচে ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস তার। তাই নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন ব্রিজ মার্কা।

কর্মী-সমর্থক কিংবা ব্যানার-পোস্টার নেই বলে নিজেই মাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান ওয়ার্ড এলাকায়। লিফলেট বিলিয়ে ভোট চান সবার কাছে। আর এসব কাজের খরচ জোগান স্থানীয়রা।

কিন্তু ভিক্ষুক হয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হালিম জানালেন, জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষোভ থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ব্রিজের নিচে তার বাড়ির আশপাশে মানুষ পায়খানা-প্রশ্রাব করে। কিন্তু এ সমস্যা নিরসনে কেউ ব্যবস্থা নেয়নি।

‘আগের কমিশনারদের অনেক বার বলসি এইখানে ল্যাট্রিন কইরা দিতে। তারা দেয় নাই। আমি জিতলে আমার এলাকায় ল্যাট্রিন বানামু; মানুষের সেবা করমু। ঘরে ঘরে টিউবওয়েলও দিমু।’

তিনি জানান, নির্বাচনের প্রচারে ছিল না কোনো টাকা। তারপরও স্ত্রী ও এলাকার লোকজনের উৎসাহে ভোটে দাঁড়ান তিনি। স্থানীয়দের দেয়া অর্থেই চলছে তার প্রচার।

‘কেউ ১০০-২০০ কইরা টেকা দেয়। একজন মাইক দিসে, একজন গাড়ি দিসে...লোকজনের সাহায্য নিয়া মাত্র ৫০০ পোস্টার ছাপসিলাম। তাও কারা ছিড়া ফেলসে।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, হালিমের ঝুপড়ি ঘরের ক্যাম্পে চা-মুড়ির খরচ এলাকার লোকজন তুলে দিচ্ছেন।

নকলার বাজারদির আল আমীন ও আসাদুজ্জামান সৌরভ জানান, হালিম নিজেই মাইকিং করে প্রচার চালাচ্ছেন। এলাকায় তাকে নিয়ে ভোটারদের বেশ কৌতূহলও তৈরি হয়েছে। ফকির সমিতিতে ছিলেন বলে এলাকার ভিক্ষুকদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়।

আবদুল হালিমকে ছোট করে দেখছেন না ওই ওয়ার্ডের অন্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুবেল মিয়া ও সফিকুল ইসলাম জানান, তারা কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখেন না। তারা সবাই নির্বাচন করছেন। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন, সে-ই বিজয়ী হবেন।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে নকলা পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৮ জন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন। এর মধ্যে আব্দুল হালিমের সঙ্গে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন পাঁচ জন।

এ বিভাগের আরো খবর