নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ও বেগমগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের ভাই খালেদ সাইফুল্লাহর নির্বাচনি প্রচারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সকালে চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আমানউল্ল্যা মিয়ার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় ছয় জন আহত হলেও সাইফুল্লার নেতাকর্মীরা তাকে নিরাপদে সরিয়ে আনেন।
এক নারীসহ আহত বাকি পাঁচ জন হলেন মফিজ উল্যাহ, অমিত হাসান, পারভেজ হোসেন, আবদুল মান্নান, মো. সুমন।
দুপুরে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় নির্বাচনি কার্যালয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সকালে নির্বাচনি প্রচার করতে গেলে হঠাৎ চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ, ইসমাইল ও সোহাগের নেতৃত্বে নৌকার ব্যাজ পরিহিত একটি দল তাদেরকে পেছন থেকে আক্রমণ করে। এ সময় তাদের এক নারী মহিলা কর্মীসহ কয়েক জনকে মারধর করে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা চৌমুহনী বাজারের প্রধান সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে চৌরাস্তা রুহুল আমিন স্কয়ারে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা হামলার নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সাল বলেন, তার কোনো কর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি আরও জানান, যখন এ ঘটনা ঘটে তখন সেখানে নৌকার কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। অযথা নির্বাচনি পরিবেশ উত্তপ্ত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।