বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র প্রার্থীর প্রচারে ডিম হামলা

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:৫৬

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর স্ত্রীসহ কয়েকজন নারী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। হঠাৎ এক যুবক খাঁচাভর্তি ডিম নিয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে ছুড়তে থাকে। এসময় প্রচারে থাকা দুই তরুণী ওই যুবকের গেঞ্জি ধরে আটকাতে চেষ্টা করলে ডিমের খাঁচা দিয়ে তাদের পিটিয়ে পালিয়ে যায়।

বরগুনা সদর উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচার চালানোর সময় ডিম হামলার শিকার হয়েছেন তার স্ত্রী ও দুই নারী সমর্থক। সদর সড়কের প্রেসক্লাব গলিতে রোববার বেলা ২টার দিকে এ হামলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর স্ত্রী হেনারা বেগমসহ কয়েকজন নারী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। হঠাৎ এক যুবক খাঁচাভর্তি ডিম নিয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে ছুড়তে থাকে। এ সময় প্রচারে থাকা দুই তরুণী ওই যুবকের গেঞ্জি ধরে আটকাতে চেষ্টা করলে ডিমের খাঁচা দিয়ে তাদের পিটিয়ে পালিয়ে যায়।

হামলার শিকার হেনারা বেগম জানান, তার স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য সকালে পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়েছিলেন। সঙ্গে তার বোনের দুই মেয়েসহ বেশ কয়েকজন নারী সমর্থক ছিলেন। প্রেসক্লাব গলিতে মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা এক যুবক তাদের ওপর ডিম ছুড়তে থাকে। পরে সেই ডিমের খাঁচা দিয়ে আঘাত করে তাদের।

তিনি আরও জানান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর ইন্ধনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবায়ের আদনান অনিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় জটলা দেখতে পাই। পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি, মেয়রের স্ত্রীসহ অন্যদের ওপর ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের কেউ ডিম ছুড়েছে। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশকে খবর দিই’।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টার্গেট। প্রচারের শুরু থেকেই হামলার ভয়ে বাসায় অবরুদ্ধ থাকি। আমার পরিবারেরও নিরাপত্তা নেই। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটাই আমার অপরাধ।’

হামলার শিকার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর স্ত্রী হেনারা বেগম। ছবি: নিউজবাংলা

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবলীগ সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবু। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি মেয়র থাকাকালে শাহাদাতের দুর্নীতির শিকার ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা তার পক্ষে যারা প্রচারে গিয়েছিল, তাদের ডিম ছুড়ে লাঞ্ছিত করেছে। ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি বরাবরই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে আসছেন।’আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন দলের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি পৌরমার্কেটকে কুক্ষিগত করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছেন। ব্যবসায়ীরা তার দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে জগ প্রতীকের প্রচার চালানোরদের লাঞ্ছিত করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা আমার সমর্থকদের কেউ জড়িত নয়।’এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। বরগুনা সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার মফিজুর রহমান জানান, ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক প্রার্থী যেন নিরাপদে প্রচার চালাতে পারেন সে জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন পুলিশ তা নিয়েছে।

বরগুনা সদর পৌরসভা নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের কামরুল আহসান মহারাজ, বিএনপির আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টির আব্দুল জলিলসহ ৬ জন।

এ বিভাগের আরো খবর