চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয়নি এখনও। এরইমধ্যে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্রার্থীরা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে আছে আওয়ামী লীগ। তবে এই পৌর এলাকায় বিএনপির অবস্থান ভালো হওয়ায় নিশ্চিন্তে আছে দলটি।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে তিন জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ছয় জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বেসরকারিভাবে নির্বাচতি হয়েছেন জয়নব বিবি।
দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শামসুল হক বলেন, ‘মাটিরাঙ্গা পৌরসভার জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় আমি দায়িত্ব নিয়েছি। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন ঘটিয়ে পৌড়সভাকে বি-গ্রেডের পৌরসভায় উত্তীর্ণ করেছি। আরও কাজ করার সুযোগ পেলে মাটিরাঙ্গা পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করব’।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি এক মেয়াদে মেয়র ছিলেন। তিনি পৌরসভা পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি। পৌরবাসীর জন্য কাজ করেননি।
‘প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র আমারই এ এলাকায় জন্ম। পৌরবাসীর জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করতে পারব। ভোটাররা এলাকার সন্তানকে পৌরসভায় দেখতে চায়। তারা এ এলাকার সন্তানকে ভোট দিবে।’
বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসংঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী তিনজন প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী তিনি কেন্দ্রে গিয়ে দলের মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। এখন দলের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
‘তারপরও আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা চালাব। তিনি যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। যদি তিনি প্রত্যাহার না করেন, তাহলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহজালাল কাজল বলেন, ‘মাটিরাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়ন এখনও অনেক বাকি। অলিগলির রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বাজারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মাদক, নারী উন্নয়ন বিষয়গুলোকে আমি প্রাধান্য দিচ্ছি’।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বি-গ্রেডের এই মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। ২৭ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি এখানে ভোট হবে ব্যালটে।