তৃতীয় ধাপে নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। এর আগে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনের মাঠ।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে নিজের নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা।
তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। কার্যালয় আগুন ধরিয়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে তারা স্থান ত্যাগ করে। মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যান কৃঞ্চপদ ঘোষকে হত্যার হুমকি দিয়েও স্লোগান দেয়া হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ভরাডুবি বুঝতে পেরে নৌকার প্রার্থীর লোকেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নানা কৌশলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গতবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে আমার কাছে প্রায় দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। কালিয়ায় কোনো ভোট কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ নির্বাচনে যে জয়ী হবে তাকে আমি বুকে টেনে নেব।’
কালিয়া সার্কেলের পুলিশ সুপার (এসপি) রিপন চন্দ্র মাঝি জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।কালিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কালিয়া পৌরসভায় নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। এখানে ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট হাজার ১৪৭ ও নারী আট হাজার ২৩৬ জন।