সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যা মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে তিন জন এজাহারে নামীয় ও এক জন সন্দেহভাজন। এ নিয়ে এ মামলার ছয় আসামি গ্রেপ্তার হলো।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা আখতার।
আসামিরা হলেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদৎ হোসেন বুদ্দিনের দুই ভাই এবং মামলার ২ নম্বর আসামি এনামুল হাসান লিখন ও ৪ নম্বর আসামি ছানোয়ার হোসেন রতন, মামলার ১৫ নম্বর আসামি গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামাল ও সন্দেহভাজন আসামি উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম।
এএসপি স্নিগ্ধা আখতার বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহায়তায় খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে উল্লাপাড়া উপজেলায় নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলামকে।
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী ও নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান হৃদয়কে নিরাপত্তা দেয়াসহ মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে ও দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ভোটে জয়ী হন কাউন্সিলর তরিকুল। ওই দিন সন্ধ্যায় তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী শাহদৎ হোসেন বুদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে হৃদয়।
মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত ২৭ নম্বর আসামি স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর তরিকুল হত্যায় পুলিশের গাফিলতি দেখছেন স্ত্রী