পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট নিয়ে সরগরম রাজশাহীর মুন্ডুমালা পৌরসভা। সব প্রার্থী ব্যস্ত নিজেদের প্রচারে।
তানোর উপজেলার দ্বিতীয় শ্রেণির এই পৌরসভায় মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে আছেন মাত্র তিন জন। তাদের মধ্যে কিছুটা বেকায়দায় আছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ভাবাচ্ছে তাকে। অন্যদিকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন ধানের শীষের প্রার্থী। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণসংযোগ করছে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে।
বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমিনকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান। দলীয় সিদ্ধান্ত না মানায় বুধবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি প্রার্থী ফিরোজ কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনে আমি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জিতব। গতবার আমার সঙ্গে জামায়াত ছিল না। তাদের নিজস্ব প্রার্থী ছিল। এবার আমি একাই বিএনপির প্রার্থী। আছে জামায়াতের সমর্থনও।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে অনেক বছর থেকেই আছে। আমি তাদের সুখে-দুঃখে থাকি। তারাও আমার জন্য কাজ করছে। এ কারণেই আমি বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
প্রচারে বাধার বিষয়েও অভিযোগও করেন সাইদুর। তিনি জানান, নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিলে বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, বিভ্রান্ত করছে। তাকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থীর এসব অভিযোগে অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আমির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের লোক নই। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ।
‘সাইদুর আমার ছোট, সম্পর্কে ফুফাতো ভাই। তার চাকরিও হয়েছে আমার কথায়। সে যদি অভিযোগ করে থাকে তবে তা ফালতু কথা।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক নির্বাচন করেছি। প্রথমে মেম্বার ছিলাম। তারপর ২০০২ সালে পৌরসভা হওয়ার পর তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। দুই বারের প্যানেল মেয়র। আমার কোনো বদনাম নেই।
‘আমি এলাকায় কোনো দুর্নীতি করিনি। ২৫ বছর ধরে মানুষের সেবায় আছি। তারা আমাকে ফেলে দেবে না। আমি বিজয়ী হবো।’
মুন্ডুমালা পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ৩০ জানুয়ারি। এই পৌরসভায় ভোটার ১৭ হাজার ৬৯৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৭৪৫ ও নারী আট হাজার ৯৫১ জন।