নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁ পৌরসভা এলাকা ছেয়ে গেছে পোস্টারে, জায়গায় জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার। ঘন কুয়াশার মধ্যেও প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।
প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ জন। তাদের মধ্য আলোচনায় আছেন তিন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনো শিবিরে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচার চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নজমুল হক সনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে পর পর দুই বার পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। পৌরবাসীর দোয়া ও সমর্থনের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি এবারও জয়ী হব।’
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা এবারই প্রথম পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্রথম দল থেকে আমাকে মনোনীত করা হয়েছে। নওগাঁবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেতা আব্দুল জলিলের স্বপ্ন, আধুনিক পৌরসভা গঠনে সহায়তা করবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
জয়ী হলে নওগাঁকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং আধুনিক ডিজিটাল মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান কৃষ্ণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। তার প্রমাণ দেশবাসী পেয়েছে।’
আলোচনার কেন্দ্রে থাকা আরেক প্রার্থী নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে দাঁড়ানো নওগাঁ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। তিনিও এই প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচন করব বলে আগে থেকে ঘোষণা দিয়েছিলাম। মনোনয়ন উত্তোলনের পর থেকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছি। এরপর যাচাই বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল করা হলেও পরে হাইকোর্ট থেকে বৈধতা পাই। ফলে মাঠে নামতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
‘নির্বাচনি প্রচারে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে। ভোটারদের কাছে আমার প্রত্যাশা প্রতীক না, তারা ব্যক্তি দেখে ভোট দিবেন। নির্বাচিত হলে আমার অফিস হবে আপনাদের অফিস।’
বাকি দুই মেয়র প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির ইফতারুল ইসলাম বকুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর আতিকুর রহমান।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, ভোটকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে এই পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।