সিরাজগঞ্জে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলামকে ভোটের আগের রাতে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম নামের এক জনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
জাহিদুলের বরাত দিয়ে পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগের রাতে তরিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে তরিকুল কাউন্সিলর পদে জয়ী হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্য আসামিদের সহযোগিতায় জাহিদ তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তারপর তারা পালিয়ে যান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতায় শুক্রবার ভোররাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে জাহিদুলকে আটক করা হয়। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী, তরিকুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি সিরাজগঞ্জের সাহেদনগরের ব্যাপারীপাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ডোবার পারে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জাহিদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সাহেদনগরের ব্যাপারীপাড়ায়। তার জবানবন্দিতে এজাহারভুক্ত কয়েক জন আসামি ছাড়াও আরও কয়েক জনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম জানান, নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা করেই পরাজিত প্রার্থী শাহদৎ হোসেন বুদ্দিন তার বাড়িসহ আশেপাশে অস্ত্র মজুত করেন। পরাজিত হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য লোকও নিয়ে আসেন।
সিরাজগঞ্জে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যায় ছুরিটি ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলাদ্বিতীয় দফার নির্বাচনে গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ভোটে জয়ী হন কাউন্সিলর তরিকুল। সন্ধ্যায় তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী শাহদৎ হোসেন বুদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান হৃদয়।
মামলা হওয়ার পরপরই এজাহারভুক্ত ২৭ নম্বর আসামি স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।