লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র নয় দিন। নির্বাচন সামনে রেখে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার অলি-গলি। ভোটারদের মন জয় করতে সব প্রার্থীই দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
৩০ জানুয়ারির এ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির প্রার্থী হামলাসহ নানা অভিযোগ করেছেন।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার ৩৯ হাজার ৩১৮ জন। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৩ জন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের পাটোয়ারী, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, জাতীয় পার্টির নেতা মো. মহসীন ও উপজেলা ইসলামী আন্দেলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন দেওয়ান।
ধানের শীষের তোফাজ্জেল হোসেন বাচ্চু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনি পোাস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় মাইকিং ও পোস্টার টানাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রচারেও বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালাচ্ছে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এ রকম চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
জাতীয় পার্টির মহসীন বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো। আমার দলও ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ ঠিকঠাক থাকলে ঐক্যের শক্তিতে আমরা বিজয়ী হব। আশা করছি, এবার ভোট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে না।’
ইসলামী আন্দেলনের জাকির হোসেন জানান, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো বলে মনে করেন তিনি।
নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোয়ারীও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট। তার দাবি, গত পাঁচ বছরে পৌরসভায় ব্যাপক উন্নায়ন করেছেন তিনি। দলের সব নেতাকর্মী তার জন্য ভোটের মাঠে আছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে সে ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।।’
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কেউ আচরণবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’