বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থী লুকাচ্ছে জামায়াত

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:৫৪

বিএনপির শরিক দল জামায়াতে ইসলামী পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় দলটির প্রার্থী রয়েছে। তারা বলছেন, দলের অনুমতি নিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। যদিও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করছেন উল্টো কথা।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের দাবি, পৌরসভা নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নেই।

অথচ দ্বিতীয় ধাপে আলোচিত বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসেন লড়াই করে তৃতীয় হয়েছেন। ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫১টি।

গত ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে জামায়াতের আরও প্রার্থী ছিল। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ হানিফ। মেয়র পদে তার প্রতীক ছিল জগ মার্কা। ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৯০০।

এর আগে প্রথম ধাপে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় প্রার্থী ছিলেন জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান। তার জগ প্রতীকে ভোট পড়ে ৮৬৭ ভোট।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ নেই। হয় জোটবদ্ধ নির্বাচনে শরিক দলের প্রতীক নিতে হবে তাদের, নয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে হবে। দলের নেতারা দ্বিতীয়টিই করছেন।

একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটির ছয় জন শীর্ষ নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝোলার পর দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি কী, সেটা বোঝা যাচ্ছে এবার। প্রথম দুই ধাপে ৮৪টি পৌরসভায় ভোট হলেও মেয়র পদে জামায়াতের প্রার্থী পাওয়া গেছে কেবল তিনটিতে।

এই তিন প্রার্থী জানিয়েছেন, দলের অনুমতি নিয়ে তারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে লড়া জামায়াত নেতা মোহাম্মদ হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যে নির্বাচন করেছি এ জন্য আমার দল জামায়াতের মৌন সমর্থন ছিল।’

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় প্রার্থী ছিলেন জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দল থেকে স্থানীয় নির্বাচনের ব্যাপারে অপশন ছিল যে, দলের কেন্দ্র কোন দায়-দায়িত্ব নেবে না। যদি কেউ নির্বাচন করতে চায় তাহলে করতে পারেন।

‘নির্বাচনে দলের কেন্দ্র কোনো দায়-দায়িত্বও নেয় নি। কোন পরামর্শ ও টাকাও দেয়নি। শুধু বলেছে, আমরা নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন না করলে যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাদের জনশক্তি থাকে না, হারিয়ে যায়। আমি আমার শক্তিকে সংগঠিত রাখার জন্যই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’

তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় জামায়াতের কয়জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অন্তত একটি পৌরসভায় জামায়াতের প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। রাজশাহীর কেশরহাটে জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দলের স্থানীয় নেতা হাফিজুর রহমান আকন্দ।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা পৌর নির্বাচন করেছেন তারা ব্যক্তিগত, স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন। আমাদের কোনো মনোনীত প্রার্থী আমরা কোথাও দেইনি।’

যারা নির্বাচন করেছে তারা তো দলের সমর্থনের কথা বলেছেন। এই বিষয়টি জানালে পরওয়ার বলেন, ‘এ কথা কেউ বললে তো আমরা জানি না। অনেকেই অনেক কথা বলতে পারবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি মনে করে, তিনি দলের সম্মতি ছাড়া নির্বাচন করবেন তাহলে তাকে বাধা দিতে পারবে কে?’

তাহলে দলের ওপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ নেই?- এমন প্রশ্নে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা তো দলীয়ভাবে নির্বাচন করিনি। কেউ বললে তো হবে না যে সমর্থন ছিল। আমরাই তো জানি না, বিষয়টি আমাদের নলেজে নেই।

‘আমাদের ওপরে আমাদের পুরো নিয়ন্ত্রণই আছে। আমরা দলীয় পলিসির ওপরের আছি। কোন ব্যক্তি নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে করলে সেটা তার ব্যাপার।‘

এই পৌর নির্বাচনে যেখানে জামায়াতের প্রার্থী নেই, সেখানে বিএনপিকেও সমর্থন দেয়নি দলটি। এই দূরে দূরে থাকার কারণ হিসেবে মিয়া গোলাম পরওয়ার সম্প্রতি নিউজবাংলাকে বলেন, তারা ভোট বর্জন করেছেন।

কেবল পৌরসভা নির্বাচন নয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপির পাশে নেই জামায়াতে ইসলামী।

এ বিভাগের আরো খবর