নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বসুরহাটের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেন ফয়সল।
আগামী ৩০ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে বুধবার চৌমুহনী গণমিলনায়তনের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনি অঙ্গীকার প্রকাশ করেন নৌকা মার্কার প্রার্থী। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে প্রচার চলাকালেই বসুরহাট আলোচিত হয়ে উঠে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার নানা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে।
সেখানে ভোট নিয়ে কাদের মির্জার পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা দুই জনই বলেছেন, পুরোপুরি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।
ভোটের ফল গেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে। নৌকা মার্কায় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি ভোট পড়েছে। ধানের শীষে পড়ে এক হাজার সাতশর কিছু বেশি ভোট। আর জামায়াত নেতার মোবাইল ফোনে ভোট পড়েছে দেড় হাজারের কম।
ভোটের পর পরাজিত দুই প্রার্থীর বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেছেন কাদের মির্জা। আর সেখানে তিনি নতুন ধাঁচের রাজনীতি শুরুর করার কথাও বলছেন।
চৌমুহনীতে নৌকা মার্কার প্রার্থী আকতার হোসেন ফয়সল বলেছেন, তিনিও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তিনি মেনে নেবেন তাকেই।
ইশতেহারে মোট ১৭টি অঙ্গীকারের কথা জানান আওয়ামী লীগের প্রার্থী। গত দুটি নির্বাচনে বিজয়ী ফয়সল বলেন, তিনি আবার নির্বাচিত হলে চৌমুহনী হবে একটি আধুনিক ও মডেল পৌরসভা। এলাকায় সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
এই পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী করেছে জহির উদ্দিন হারুণ।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ এখানে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল প্রার্থী না করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।