দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া দিনাজপুরের তিন পৌরসভার নির্বাচনে সাত পরাজিত মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক নিউজবাংলাকে জানান, কোনো প্রার্থী মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। গেজেট প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যেই জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সে হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় আছে দিনাজপুর পৌরসভায় তিন জন, বীরগঞ্জ পৌরসভায় দুই জন ও বিরামপুর পৌরসভায় দুই জনের নাম এর মধ্যে আছেন বিএনপির দুই, বিএনপির বিদ্রোহী এক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুই, জাতীয় পার্টির এক ও কমিউনিস্ট পার্টির এক প্রার্থী।
দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচনে এক লাখ ৩০ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৫৩ জন। সেই হিসেবে জামানত টিকিয়ে রাখতে মেয়র প্রার্থীকে নয় হাজার ৩৫৬ ভোট পেতে হত।
নির্বাচনে দিনাজপুর পৌরসভার জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমেদ শফি রুবেল তিন হাজার ৪৫৮, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাবিবুর রহমান রানা ৫৭৪ ভোট ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মেহেরুল ইসলাম ৪৭২ ভোট পান।
বীরগঞ্জ পৌরসভায় ১৫ হাজার ৫৪৫ ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ১২৭ ভোট দিয়েছেন। জামানত টিকিয়ে রাখার জন্য পরাজিত মেয়র প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল এক হাজার ৫১৫ ভোট। সেখানে বিএনপির প্রার্থী মোকাররম হোসেন ৯৯৮ ভোট ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শাহ আলম ২৬৬ ভোট পেয়েছেন।
বীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোকাররম হোসেন ও শাহ আলম। ছবি: নিউজবাংলা
আর বিরামপুর পৌরসভায় ৩৬ হাজার ৭৪৮ জনের মধ্যে ২৭ হাজার ৬১৫ জন ভোট দেন। জামানত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তিন হাজার ৪৫১ ভোট পাননি পরাজিত দুই প্রার্থী। এর মধ্যে বিএনপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীর এক হাজার ৮০৪ ও বিদ্রোহী প্রার্থী আজাদুল ইসলাম এক হাজার ৪১৫ ভোট পেয়েছেন।
বিরামপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আজাদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর। ছবি: নিউজবাংলা
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দিনাজপুর পৌরসভায় টানা তৃতীয় বারের মতো জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। বীরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বাবুল। আর বিরামপুরে বড় ব্যবধানে মেয়র পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আক্কাস আলী।