হামলার শঙ্কার কথা জানিয়ে নিজ বাসায় ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
বাসায় ইশতেহার ঘোষণার ব্যাখ্যা দিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘আমি অবরুদ্ধ। আমার ওপর যেকোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে। এ ভয়ে আতঙ্কে বাসা থেকে বের হতে পারি না।
‘আমার বাসাতে আমি অনিরাপদ। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি এখন জিম্মি।’
স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর দাবি, নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই হামলার শঙ্কায় আছেন। এ কারণে তিনি একমাত্র মেয়ে মহসিনা মিতুলকেও প্রার্থী করেছেন।
‘আমার সমর্থকদের বাসায় গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়। এই নির্বাচনে আমার প্রাণহানি ঘটতে পারে, সেই ভয়ে আছি।’
মেয়র বলেন, ‘সাবেক পৌর মেয়র শাহজাহান দুই বার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পৌর মেয়র নির্বাচন করেছেন। তিনিও নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।’
ইশতেহারে গত ১০ বছর মেয়র থাকা শাহাদাত তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এরপর নির্বাচিত হলে বরগুনা পৌরসভায় যেসব উন্নয়ন করবেন, তা ২৪ দফায় উপস্থাপন করেন।
ইশতেহারে শিশু পার্ক, ওয়াক ওয়ে, ডিসি লেক, ট্রাকস্টান্ড নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র শাহাদাত। এ ছাড়াও বেকারদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শাহাদাত জানান, জিম্মি অবস্থার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাসায় পুলিশি টহলের দাবি জানানো হলেও পুলিশ মোতায়েন হয়নি। উল্টো পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বরগুনা পৌরসভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। এ পৌরসভায় মেয়র পদে ছয়, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।