গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোমরনই ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ও হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মাহফুজুর জানান, গাইবান্ধা সদর থানায় রোববার দুপুরে পুলিশ ও র্যাব দুটি মামলা করে। দুটিতেই আসামি করা হয় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার-উল সরোয়ার শাহিবসহ ৪১ জন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দেড়শ জনকে। সোমবার রাতে পুলিশি অভিযানে আটক পাঁচ জনকে এই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে হামলা হওয়ায় র্যাব ১৩ নম্বর ক্যাম্পের উপপরির্দশক (এসআই) মোসলেম উদ্দিন ও গাইবান্ধা পুলিশের উপপরির্দশক (এসআই) মোক্তাদির রহমান নিজ বাহিনীর পক্ষে সদর থানায় মামলা করেন।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোমরনই এলাকাসহ পৌর শহরজুড়ে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোমরনই কেন্দ্রের ভোট গণনার সময় এলাকাবাসী কক্ষ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এলাকাবাসীও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে হামলা চালায়। একটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানায় সদরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ারের (রেল ইঞ্জিন) কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে পুলিশ।