সিরাজগঞ্জের পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এর একটিতে জয় এসেছে নিকট প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তিনটিতে জয় এসেছে ভোটে।
অপর একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে জিতে গেছেন দলীয় প্রতীক না পাওয়া ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
শনিবারের ভোটে দেশের যেসব এলাকায় বড় ধরনের অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে, তার মধ্যে আছে সিরাজগঞ্জের তিনটি পৌরসভা। প্রতিটিতেই বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অস্বাভাবিক বেশি।
যে তিনটি পৌরসভায় নৌকার জয় এসেছে, তার প্রতিটিতেই ভোটারদেরকে মেয়র পদে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটাররা স্বাধীনভাবে রায় দিতে পেরেছেন কাউন্সিলর পদে।
সিরাজগঞ্জ সদরে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৮ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়েছে বিজয়ী হয়েছেন সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী সাইদুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৮৯ ভোট।
মেয়র পদে ভোটারদেরকে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগে ভোটের ফল বর্জন করেছেন বিএনপি নেতা বাচ্চু।
উল্লাপাড়ায় মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন।
এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের এস এম নজরুল ইসলাম জিতেছেন ২৪ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৬ ভোট।
ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন মাত্র ১৭৬ ভোট।
রায়গঞ্জে প্রার্থী ছিলেন চার জন। এখানে নৌকা প্রতীকে আবু আল পাঠান আট হাজার ৯২০ টি ভোট পেয়ে জিতেছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের জাহিদুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট।
মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার হোসেন পেয়েছেন ৩৪১ ভোট এবং লাঙল প্রতীক পেয়েছে ১০১ ভোট।
তবে লড়াই হয়েছে বেলকুচিতে।
সেখানে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া সামছুল হক রেজা। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮৭ টি।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বেগম আশানূর বিশ্বাস নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৪ টি।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আলতাব হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪০ ভোট।
কাজীপুরে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া আব্দুল হান্নান তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতেছেন। ফলে এখানে ভোট হয়েছে কেবল কাউন্সিলর পদে।
প্রথম ধাপের ভোটে গত ২৮ ডিসেম্বরও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনির আক্তার খান তরু লোদীর নৌকায় পড়ে ২৯ হাজার ৮৭ ভোট। বিএনপির মাহমুদুল হাসান সজল ধানের শীষ নিয়ে পান এক হাজার ৮৬৭ ভোট।