নাটোরে তিনটি পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন। দুটিতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর একটিতে বিএনপি।
শনিবার জেলার গুরুদাসপুর, নলডাঙ্গা এবং গোপালপুর এই তিন পৌরসভায় ভোট হয়েছে।
ভোটের আগের দিন জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছিলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তারা জিতবেন বিপুল ভোটে।
তবে দুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেনি ধানের শীষের প্রার্থীরা। দলের পক্ষে থেকে ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগও করা হয়নি।
নিউজবাংলা গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। সব জায়গায় ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। পরিবেশ দিনভর ছিল শান্তিপূর্ণ।
এর মধ্যে গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা নৌকা মার্কায় সাত হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি এবার মিলে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা আরিফুল ইসলাম বিপ্লব নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৯৪৫ ভোট। গুরুদাসপুরে বিএনপি প্রার্থী আজিমুল হক বুলবুল পেয়েছেন ৬৯২ ভোট।
গুরুদাসপুরে পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৪ জন।
নলডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির তিন হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু পেয়েছেন এক হাজার ৯১০ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেব আলী এক হাজার ১৭৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
এই পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা আট হাজার ৬২৫ জন।
গোপালপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি ছয় হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল রেল ইঞ্জিন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৫২ ভোট।
এখানে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্ল আল মামুন কচি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১২৩ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হান্নান ভোট পেয়েছেন ১৮৫টি।
গোপালপুর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৩৫ জন।