বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় দলীয় মনোনয় না পেয়েও বিএনপি বড় জয় পেয়েছেন। বিএনপি যাকে দলীয় প্রতীক দিয়েছিল, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেও আসতে পারেননি।
শনিবারের ভোটে শেরপুরবাসী বেছে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা বিএনপি নেতা জানে আলম খোকাকে। হেরেছেন গতবারের বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতা।
জগ প্রতীক নিয়ে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ভোট পেয়েছেন আট হাজার ৭৬৯ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য বিদায়ী মেয়র আওয়ামী লীগের আব্দুস সাত্তার নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৬৮১ ভোট।
বিএনপি এখানে মনোনয়ন দিয়েছিল স্বাধীন কুমার কুণ্ডকে। ধানের শীষ নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭১টি।
এখানকার অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের নেতা হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৬ ভোট।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় যে কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগও বেশ ভালো ভোট পায়, তার মধ্যে একটি শেরপুর। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এখান থেকে জয় পান নৌকা মার্কার হাবিবুর রহমান। এখনও তিনি এই আসনের সংসদ সদস্য।
২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনেও শেরপুরে আওয়ামী লীগ বড় জয় পেয়েছিল।
সেখানে চার জন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
এদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে শুভ ইমরান, ২ নং ওয়ার্ডে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, ৩ নং ওয়ার্ডে নিমাই ঘোষ, ৪ নং ওয়ার্ডে ফারুক ফয়সাল সোহাগ, ৫ নং ওয়ার্ডে চন্দন কুমার দাস রিংকু, ৬ নং ওয়ার্ডে নাজমুল আলম খোকন, ৭ নং ওয়ার্ডে জাকারিয়া মাসুদ, ৮ নং সোমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম ও ৯ নং ওয়ার্ডে ফিরোজ আহমেদ জুয়েল।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলের তিনটি পদে জয়ী হয়েছেন শারমিন আক্তার, মমতাজ বেগম রুবি ও করুনা রানী ঘোষ।