কুষ্টিয়ার মিরপুরে পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় জয় পেয়েছেন। তবে পরাজিত প্রার্থী দলের বিদ্রোহী নেতা এনেছেন কারচুপির অভিযোগ। তৃতীয় স্থানে থাকা বিএনপি প্রার্থীর অবশ্য কোনো অভিযোগ নেই।
ভোটের শেষ দিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর একটি ভোট কেন্দ্রের সামনে হামলা হয়। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।
এই জেলায় ভোট হয়েছে মোট চারটি পৌরসভায়। এর মধ্যে মিরপুরেই কেবল অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
শনিবারের ভোটে নৌকা মার্কার প্রার্থী আওয়ামী লীগের এনামুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৬৮ ভোট।
নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা দলের নেতা শেখ আরিফুর রহমান মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পেয়েছেন দুই হাজার ৫১৫ ভোট।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির রহমত আলী রব্বান ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৬৭৪টি।
ভোটের শেষের দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমানের ওপর হামলা হয় একটি ভোটকেন্দ্রের সমানে।
সে সময় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি অভিযোগ করছিলেন যে, কেন্দ্রে বাইরের থেকে তালা দিয়ে ভেতরে ভোট কেটে নেয়া হচ্ছে।
এসব কথা বলার সময় একদল মানুষ এসে তাকে কিল ঘুষি দিতে থাকে।
আরিফুরের অভিযোগ, হামলা করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকদের।
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে এনামুল হক বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আরিফুর রহমান তার লোকজনকে নিয়ে ব্যালট দখল করতে গিয়েছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ লোকজন তাকে বাধা দেয়। সেখাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’
ভোটের প্রচার চলাকালে এনামুল হকের একটি বক্তব্য এলাকায় আলোড়ন তুলেছিল। তিনি জনসভায় তার সমর্থকদেরকে মেয়র পদে প্রকাশ্যে আর কাউন্সিলর পদে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রতিপক্ষ এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানালে এনামুলকে সতর্কও করে দেয়া হয়।