বান্দরবানের লামা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ধারেকাছেই যেতে পারল না বিএনপির প্রার্থী। আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধানের শীষে মো. শাহীন পেয়েছেন ১ হাজার ৬২ ভোট। অবশ্য নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৮৮ ভোট।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ৯টি কেন্দ্রের ৩৯টি বুথে ভোট নেয় কমিশন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৮ দশমিক ৪৯ বর্গকিলোমিটারের লামা পৌর এলাকার ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩ জন ও নারী ভোটার ৬ হাজার ৩৮৬ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে তিন জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এ দিকে সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাকেরা বেগম, ২নং ওয়ার্ডে মরিয়ম বেগম ও ৩নং ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে বশির আহমদ, ৩নং ওয়ার্ডে সাইফুদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ডে আলী আহমদ, ৬নং ওয়ার্ডে মমতাজুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে কামাল উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডে ইউছুফ আলী ও ৯নং ওয়ার্ডে উশৈথায়োই মার্মা নির্বাচিত হয়েছেন।
এ দিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ২নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হাসেন বাদশা ও ৪নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ রফিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
লামা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও বান্দরবান জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, শান্তিপূর্নভাবে লামা পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারটা কেন্দ্রে গিয়ে ভটি দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।