বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীগঞ্জে মন্ত্রীর জামাতার পরাজয়, মানছে না আ.লীগ

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:১৪

হবিগঞ্জের এই পৌরসভায় প্রচার চলাকালে বারবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারচুপির চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরি। নৌকা মার্কার প্রার্থী বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর জামাতা গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরি অল্প ভোটে হেরে যাওয়ার পর এখন এই অভিযোগ তুলছে ক্ষমতাসীন দল।

ভোটের প্রচার চলাকালে বিএনপির অভিযোগ ছিল, কারচুপির চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। আর ভোটে হেরে গিয়ে এখন আওয়ামী লীগ বলছে, প্রশাসন তাদেরকে হারিয়েছে চক্রান্ত করে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিএনপির কাছে হেরে গেল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হেরে গিয়ে তারা সেখানে তুলেছে কারচুপির অভিযোগ।

শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাত আটটার দিকে ঘোষণা করা হয় ফলাফল।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম জানান, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ছাবির আহমেদ চৌধুরি এখানে জিতেছেন পাঁচ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরির নৌকায় ভোট পড়েছে পাঁচ হাজার ৪৮৫ ভোট। দুই দলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ২৬৪টি।

রাহেল চৌধুরী স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী। তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের জামাতা।

তিনি যখন ফলাফল ঘোষণা করছিলেন, তখন উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

স্লোগানে স্লোগানে তারা বলছিলেন, এই নির্বাচন মানেন না। প্রশাসন চক্রান্ত করে তাদের পরাজিত করছে।

পরাজিত প্রার্থী গোলাম রসুল অবশ্য সেখানে ছিলেন না। তার ছোট ভাই সাহেল চৌধুরি বলেন, ‘চক্রান্ত করে আমার ভাইকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ফল প্রত্যাখ্যান করলাম।’

কীভাবে কারা চক্রান্ত করেছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি সাহেল। বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এই পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচার চলাকালে দুই দলের কথার লড়াইয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। রাহেলের পক্ষে সেখানে প্রচার চালান আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও।

প্রচারের শেষ দিকে আওয়ামী লীগের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা আরও উত্তাপ ছড়ায়। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হামলার ঘটনায় বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার পর দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তখন বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন, আওয়ামী লীগ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

তবে ভোটে জয়ের পর তিনি বলছেন উল্টো কথা। নিউজবাংলাকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নির্বাচন এর আগেও চারবার করেছি। এই নির্বাচন আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ, এই নিরবাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন হেভিওয়েট। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর জামাতা।

‘আমি মনে করি, জনগণ আমাকে ভালোবাসে বলেই বিজয়ী করেছে। আমি জনগণের এই ভালোবাসার যখাযথ মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর