বিচ্ছিন্ন ও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ ভোটে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্মলেন্দু চৌধুরী।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট নেয়ার পর সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ।
তিনি জানান, নির্বাচনে নির্মলেন্দু চৌধুরী পেয়েছেন ৯ হাজার ৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র রফিকুল আলম পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৪৯ ভোট। এ ছাড়া বিএনপির ইব্রাহিম খলিল পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৮ ভোট। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বোট দিয়েছেন।
দুপুরের দিকে শালবন এলাকার টেক্সটাইল ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলম পৌঁছলে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্বাচন শেষে সব দলের প্রার্থীই নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ১৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট নেয় কমিশন। ইভিএমে নেয়া ভোটে প্রথমে কিছুটা ধীরগতি ছিল। পরে অবশ্য সেটি আর ছিল না। অল্প সময়ে ভোট দিতে পারায় ইভিএমের প্রশংসাও করেছেন ভোটাররা।
নির্বাচনে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অতীশ চাকমা। এ ছাড়া ২নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মানিক পাটোয়ারী, ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা শাহ আলম, ৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চুমনি চাকমা, ৫নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুল মজিদ, ৬নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মংরে মারমা, ৮নং ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল কর্মকার ও ৯নং ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিটন তালুকদার নির্বাচিত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৭ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৩৫১ জন ও নারী ১৬ হাজার ৭৩৬ জন।