মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের নগণ্য সংখ্যক ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।
এখানে জিতেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া দুই নেতা। বিএনপির প্রার্থী হয়েছে চতুর্থ।
ব্যালটে নেয়া এই জুয়েল আহমদের নৌকায় ভোট পড়েছে পাঁচ হাজার ২৫৭ টি। তিনি টাকা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল মিয়ার জগ প্রতীকে পড়েছে দুই হাজার ৮০৬ ভোট। ভোটের ব্যবধান দুই হাজার ৪৫১।
তৃতীয় স্থানে থাকা আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী আনোয়ার হোসেনের নারকেল গাছে পড়েছে দুই হাজার ৭৮৭ ভোট।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন জন প্রার্থী থাকায় জয় পাওয়ার আশা করছিলেন বিএনপির আবুল হোসেন। তবে সে আশায় গুড়েবালি। তার ধানের শীষে ভোট পড়েছে ৩০১ ভোট।
আইন অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই হিসাবে জামানত হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেয়া অর্থ ফেরত পাবেন না বিএনপি নেতা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল ভোটারদের উপচে পড়া ভিড়।
১৩ হাজার ৯০৫ জন ভোটারের মধ্যে ১১ হাজার ২১০ জন ভোট দেন। বাতিল হয় ৫৯টি ভোট। ভোটের হার ৮০.৬১ শতাংশ।
কাউন্সিলর পদে এখানে ৩১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন, ২নং ওয়ার্ডে সৈয়দ জামাল হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডে আনসার শোকরানা মান্না, ৪নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন সাকিল, ৫নং ওয়ার্ডে ছাদ আলী জয় পেয়েছেন।
৬নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম রুহেল, ৭নং ওয়ার্ডে গোলাম মুগ্নি মুহিত, ৮নং ওয়ার্ডে আহাদুর রহমান বুলু এবং ৯নং ওয়ার্ডে বখতিয়ার খান জয় পেয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে
মুসলিমা বেগম, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে আয়েশা সিদ্দিকা এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে শাপলা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।