মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ আলী জয়ী হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার আহমেদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
আহমেদ আলী ৯ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বন্তন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট।
কারচুপির অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে গাংনীতে ভোট বর্জন করেন চার মেয়র প্রার্থী। তারা হলেন বিএনপি প্রার্থী আছাদুজ্জামান বাবলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাই আনারুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবু হুরাইরা।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ও বহিরাগতরা রাস্তায় ভোটারদের বাধা দেয়। ১, ২, ৩, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে তারা আমার অ্যাজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়নি।
‘আমরা গিয়ে তাদেরকে প্রবেশ করিয়েছি। কিন্তু আবারও বের করে দেয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। ’
নিরাপত্তার অভাবে নিজেই ভোট দিতে পারেননি অভিযোগ করে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘যারা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার পর নৌকার অ্যাজেন্ট ও বহিরাগতরা নৌকা প্রতীকে ভোট নিশ্চিত করে নিয়েছেন।’
ধানের শীষের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর অভিযোগ, ‘আজকের এই নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন। সকাল থেকে আমার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়, অ্যাজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’
ইসালামী আন্দোলনের প্রার্থী আবু হুরায়রা বিকেলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসন কাজ করলেও ভোট কেন্দ্রের ভেতরে নানা অনিয়ম হয়েছে।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহমেদ আলী বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
গাংনী পৌরসভায় মেয়র পদে পাঁচ জন, কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট নেয়া হয়েছে ৯টি কেন্দ্রে।
এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৩৫৭। পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৭৬০ ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯১৫ জন ভোট দিয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার আহমেদ আলী জানান, একটি কেন্দ্র ছাড়া আর কোনো কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তিনি পাননি।
অভিযোগ পাওয়া কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।