সহিংসতার ঘটনায় আলোচনায় আসা ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌলসভায় মেয়র পদে টানা তৃতীয়বার জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কাজী আশরাফুল আজম। ভোটের আগেই প্রচারে সংঘর্ষে পৌরসভাটিতে এক জন নিহতও হয়েছেন। তবে ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।
শনিবার ভোট নেয়ার দিনে একটি কেন্দ্রে ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া আর কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি।
আলোচনায় আসা সেই শৈলকুপায় নৌকা প্রতীকে কাজী আশরাফুল আজম পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৮৭ ভোট। আর এতেই হ্যাটট্রিক করে বসলেন আশরাফুল আজম। হলেন তৃতীয় বারের মতো মেয়র।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা তৈয়বুর রহমান খান বাবু জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৮১ ভোট। আর বিএনপির খলিলুর রহমান এক হাজার ৫৬৯ ও লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আবু জাফর পেয়েছেন ১৯২ ভোট।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে শৈলকুপায় শনিবার সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই পৌর এলাকার ১৫ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নয় ওয়ার্ডের ১৫ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ২৮ হাজার ৬৩২ জন।
গত বুধবার রাতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে শওকত আলীর ভাই লিয়াকত আলী বল্টু নিহত হন। এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর কুমার নদ থেকে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
এই সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচনের দিন নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন।
নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার থেকেই শৈলকুপা পৌর এলাকায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি, চারশ পুলিশ এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।