দ্বিতীয়ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মো. আলমগীর, ‘আমরা আশা করছি, কোথাও কোথাও হয়তো ৭০ শতাংশ হবে, কোথাও হবে ৮০ শতাংশ। গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ ভোট পড়ে থাকতে পারে। চূড়ান্তটা বলা যাবে সব ফলাফল আসলে।’
গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিভিন্ন ভোটের খরা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয়। তবে প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ নাগরিকের চিঠির পর অনেকটাই পাল্টে যায় পরিস্থিতি।
তবে, ২৮ ডিসেম্বরের ভোটে ২৪টি পৌরসভাতেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি, বেশির ভাগ এলাকাতেই নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
সাভার পৌরসভায় ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ছবি: নিউজবাংলাদ্বিতীয় ধাপেও ৬০ পৌরসভায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারের সারি দেখে কমিশন অনেকটাই নির্ভার।
এবার যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে মেয়র পদে ভোট হয়েছে ৫৬টিতে। বাকি চারটিতে একক প্রার্থী থাকায় ভোটের দরকার পড়েনি।
প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভার সবগুলোতে ইভিএমে ভোট হলেও দ্বিতীয় ধাপে ৩২টিতে ভোট হয়েছে ব্যালটে। বাকিগুলোতে ভোট হয়েছে ইভিএমে।
যেসব কেন্দ্রে সনাতন পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে, সেগুলোতে এবার প্রথমবারের মতো ভোটের সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ব্যালট পেপার।
অবশ্য পুরোপুরি বিতর্কমুক্ত ভোট করা যায়নি। ছয়টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন কারচুপির অভিযোগে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভাতে মেয়র পদে ভোটারদেরকে প্রকাশ্যে সিল দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংঘর্ষ ও প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, পাবনার ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া সদর ও ঝিনাইদহের শৈলকুপায়।
কিশোরগঞ্জ সদরের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, বেশির ভাগ পৌরসভাতেই ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইসি সচিব জানালেন, দুই একটি জায়গায় সহিংসতা হলেও সার্বিকভাবে ভোটের পরিবেশ ভালোই ছিল।
তিনি বলেন. ‘অনেক জায়গায় নয়, দু একটি জায়গায় সমস্যা হয়েছে। অনেক জায়গায় বলতে বুঝায় ব্যাপক। ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে। এতে ভোট কেন্দ্র ছিল চারশ সাড়ে চারশ। সেখানে কয়টা কেন্দ্রে (সহিংসতা) হয়েছে, হয়তো পাঁচ থেকে সাতটা কেন্দ্রে।
‘এটা অত্যন্ত নগন্য। আমাদের মতো দেশে এমন কোনো নির্বাচন দেখিনি যেখানে সহিংসতা দু একটা না হয়। সব নির্বাচনেই হয়। এটা না করলে যারা দুষ্কৃতিকারী তাদের ভালো লাগে না।’