ভোটারদের মেয়র পদে ভোট দিতে না দেয়া, এজেন্টদের বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখল রেখে ভোট গ্রহণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইদুর রহমান বাচ্চু।
শনিবার সকাল আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় নিউজবাংলাকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার কথা জানান তিনি।
নির্বাচনের ফল মেনে নেবেন কি না? এমন প্রশ্নে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা ফলাফল মেনে নেব না। আমরা নির্বাচনটাই প্রত্যাখান করছি। বলতে পারেন, ভোট শেষ হওয়ার পর কেন প্রত্যাখান করলেন? আমি বলব- আমরা ভোটের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছি।’
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে আটটায় আমার ভোট দিয়েছি। এরপর প্রতিটা কেন্দ্রে আমি ঘুরে দেখেছি। প্রত্যেকটা সেন্টারের মেয়রের ব্যালটটি কেড়ে নিয়ে শুধুমাত্র কাউন্সিলরদের ব্যালট ভোটারদের দেয়া হয়েছে।’
ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। এবার ফলাফলের অপেক্ষা।’
সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ভোট করছেন তিন জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাইদুর রহমান বাচ্চু। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছেন নূরে আলম হেলাল।
পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ২৯ জন ও সাধারণ আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৮৬ জন। মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৯২৬, পুরুষ ৫৫ হাজার ৯২৮ ও মহিলা ৫৭ হাজার ৯৯৮ জন।
পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির ছয় জন মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
অন্যগুলোর মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন মেয়র প্রার্থীকে ভোটের পরিবেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এমন ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ভোটের ময়দানে বিরল।