পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতোই ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এই ভোটেও।
৬০টি পৌরসভায় ভোট চলাকালে শনিবার সকালে দলের গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোশাররফ। এ সময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে এই অভিযোগ করেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপ এবং শনিবারের ভোটে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন দেখা গেছে। তবে বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগে বিএনপির ছয় মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে দুই জন মেয়র প্রার্থী আবার নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে প্রশংসাও করেছেন।
তবে মোশাররফ বলেছেন, সব ভোট কেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, ক্ষমতাসীনরা আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি, অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে। এমনকি বিএনপি সমর্থকদের কেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না।
‘তারা গায়ের জোরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তারা বলে, এমপি যদি আমরা এভাবে করতে পারি তাহলে আমরা মেয়র এভাবে হব না কেন?’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রের অবস্থা কী তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আমি তা বলতে চাই না। সত্যিকার ভোট হইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দরজা ঠুয়াই পাইব না, দরজা নাকি খুঁজে পাবে না-এটা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মুখ থেকে আসছে। আসলে তাই।’
ইভিএমে ভোট নেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনে ভোটে দূরভিসন্ধি আছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সন্মাননা বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে মোশাররফ যান গুলশানে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর সভাপতিত্বে এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।