অনিয়ম ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত।
কুলিয়ারচর বেতিয়ারকান্দি এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের বাড়িতে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
নির্বাচনে অনিয়ম ও ধানের শীষের এজেন্টদের বের দেয়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী নূরুল বলেন, ‘ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে থেকেই প্রশাসন ও সরকারি দলের ক্যাডারবাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
‘আজ ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়। অনেককে মারধরও করা হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।’
বিএনপির প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট আব্দুল মজিদ অভিযোগ করেন, ‘শুরুটা ভালোই ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই পাল্টে যায় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের চেহারা।
‘হঠাৎ করেই তারা আমাদের লোকজনের ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের লোকজনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় তারা। যারা প্রতিবাদ করেছে, তারাই মারধরের শিকার হয়েছে।’
বিএনপির এমন দাবি অস্বীকার করে আদমখাঁর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার ফিকুবর রহমান বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তা ছাড়া আমার কাছে কেউ এমন কোনো অভিযোগও করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি আমাকে কিছু না বলে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়, তবে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলমও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি নিজে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাননি।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।