দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনায় আলোচনায় আসা ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভোটের পরিবেশ শান্তই আছে। একটি কেন্দ্র থেকে কয়েকশ গজ দূরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও অন্য কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছে।
শনিবার ৯ ওয়ার্ডের ১৫টি ভোটকেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে ভোট হচ্ছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে।
ভোট নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর কোনো অভিযোগ না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান বলেন, ‘খুলনা কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের বুথে ঢুকে জোর করে সিল মেরে নেয়া হচ্ছে।
নির্বাচনি প্রচারের সময় যে কয়টি পৌরসভায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে শৈলকুপা অন্যতম।
বুধবার রাতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে শওকত আলীর ভাই লিয়াকত আলী বল্টু নিহত হন। এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর কুমার নদ থেকে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
এই সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচনের দিন নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন।
সুমন নামের এক ভোটার জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিচ্ছেন। তবে তারা এমনটা আশা করেননি। ভেবেছিলেন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
শৈলকুপার কবিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন এক ভোটার। ছবি: সোহাগ আলী/নিউজবাংলা
তবে ভোট দিতে অনেক সময় লাগায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটাররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পৌরসভার ললিতমোহন ভূইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সাহেব আলী বলেন, ‘অনেক সুমায় দাড়াই আছি। এত আস্তে আস্তে ভোট হচ্চে দাড়াই থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে গেল।’
কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে একটি কেন্দ্র থেকে কয়েকশ গজ দূরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে খুলনা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই পৌরসভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট, দুই প্লাটুন বিজিবি ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।