নওগাঁর নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে মোমবাতির আলোয়। বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা না থাকায় কেন্দ্রটির একটি কক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে সকাল থেকে ভোট নেয়া শুরু করেন নির্বাচনি কর্মকর্তা।
পৌরসভার ৬ নম্বর ভোটকেন্দ্র হরিরামপুর গিয়াস উদ্দিন মেমোরিয়াল বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির অন্য কক্ষগুলোতে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা থাকলেও দুই নম্বর কক্ষে তা করা হয়নি।
ওই কক্ষে মোমবাতির আলোতেই ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী। তবে ওই সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে ভোট নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পৌরসভার হরিরামপুর মহল্লার বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি অন্ধকার কক্ষে ভোট দিলাম। এটা কোনো পরিবেশ হলো ভোট দেয়ার? এতদিন তাইলে কী ধরনের প্রস্তুতি নিল নির্বাচন অফিস?’
একই এলাকার প্রবীণ ভোটার নজরুল ইসলাম জানান, ভোট দিতে গিয়ে দেখেন, কক্ষ অন্ধকার। এতে অসুবিধায় পড়েন তিনি।
যাদের দায়িত্ব তারা এমন দায়সারা কাজ কেন করেন, সে প্রশ্নও করেন তিনি।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার শাহিনুর রহমান বলেন, ‘ওই কক্ষে প্রথম দিকে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে ভোট নেয়া হয়। আমি বিষয়টি জানতাম না। চেষ্টা করব আলোর ব্যবস্থা করতে।’
তিনি জানান, কেন্দ্রটির সাতটি বুথে ভোটারের সংখ্যা দুই হাজার ৩৭৬ জন।
দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে শনিবার সকাল ৮টায় নজিপুরে ভোট শুরু হয়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, নজিপুর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৯৭ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ভোটের জন্য ৯টি কেন্দ্রে ৪৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই জন। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩৫ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন।