দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে তুমুল আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাটে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট বিএনপির প্রার্থী। কেন্দ্র পরিদর্শন করে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, কোথাও সমস্যা দেখেননি তিনি।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা গত ১০ জানুয়ারি থেকেই সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার এই অবস্থানের কারণেই পৌরসভাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়।
ভোটের চিত্র তুলে ধরতে দেশের প্রধান প্রধান প্রায় সব গণমাধ্যমের প্রতিনিধিই এখন বসুরহাটে।
সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর পর তিন প্রার্থীই ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।
নির্বাচনে প্রায় সময়ই বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা ভোট নিয়ে নানা রকম অভিযোগ করেন। তবে পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে।
নোয়াখালীর বসুরহাটে নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার সকালে বসুরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যেই দুই চারটা কেন্দ্রে গেসি সেখানে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। কোনো সমস্যা নাই। জয়-বিজয় আল্লাহর হাতে।’
এই ভোটে হেরে গেলেও কোনো আফসোস থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘বিজয় হলেও ভালো, পরাজয় হলেও আমরা সুন্দরভাবে মেনে নেব।’
তিনি বলেন, ‘একটা পোস্টার কোথাও ছেঁড়া হয়নি, কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।’
এরকম সুন্দর নির্বাচনি পরিবেশের জন্য তিনি বর্তমান মেয়র কাদের মির্জা ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
নির্বাচনের ফলাফল মানার বিষয়ে তিনি আবারও বলেন, ‘অবশ্যই আমি ফলাফল মেনে নেব। এই সুন্দর নির্বাচনের ফলাফল না মানলে আমি কেন রাজনীতি করি?’
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় ভোট দিয়ে বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। ছবি: নিউজবাংলা
সকালে উদয়ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভোট দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র কাদের মির্জা। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোট নিয়ে তার যে শঙ্কা ছিল, তা এখন নেই বললেই চলে।’
তবে কোনো কারণে পরাজিত হলেও তিনি তা ইতিবাচকভাবে নেবেন জানিয়ে বলেন, ‘যদি নির্বাচিত না হই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যিনি নির্বাচিত হবেন, তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি বাড়ি ফিরে যাব।’
ভোটে আরেক প্রার্থী মোশাররফ হোসেন জামায়াত নেতা। তবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তার দলীয় প্রতীকে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন মোবাইল ফোন প্রতীকে।