রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেয়া শেষে এক নারী অভিজ্ঞতা জানানোর সময় সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন মেয়র প্রার্থী আবদুল গনির ছেলে কামরুল হাসান শাহিন। ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিটও করে দেন তিনি।
তবে ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহিনের বাবা আবদুল গনি।
সাভারের টাঙ্গাইল ক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
ইভিএমে ভোট দেয়ার পর ওই নারী ভোটার সাংবাদিকদের কাছে কেন্দ্রের অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলছিলেন। বাংলানিউজের প্রতিবেদক সাগর ফরাজী তার কথার ভিডিও ধারণ শুরু করেন।
ওই সময় শাহিন এসে সাগর ফরাজীর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেন; সঙ্গে শুরু করেন গালিগালাজ।
বাংলানিউজের রিপোর্টার ফরাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তো গোপন কক্ষে ছিলাম না; ভোটার কক্ষের বাইরে ছিলাম। ওই ভোটার কেন্দ্রটির প্রথম ভোটার। তাই তার অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য আমি ভিডিও করি। এ সময় হুট করে শাহিন এসে আমার ফোন কেড়ে নেয়; শুরু করে গালাগালি।’
সাগর জানান, ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার সাহা ওই সময় গিয়ে তার ফোনটি ফেরত দেন। তবে তার সামনেও শাহিন গালিগালাজ করছিলেন।
ঘটনার পর শাহিনকে ফোন করে জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিউজবাংলার প্রতিনিধির কল কেটে দেন।
শাহিনের বাবা ও মেয়র প্রার্থী আবদুল গনিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি এমন কোনো ঘটনা তারা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি নিজে দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর হবে না।’
প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কালাম বলেন, ‘কী ঘটেছে জানি না। তবে শুনেছি কথাকাটাকাটি হয়েছে; সেটি মিটমাটও হয়েছে।’
সাভারের ৪ নম্বর রাজাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারের সারি। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সাভারের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভিড় দেখা গেছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
সাভারে পৌর নির্বাচনে প্রথম বারের মতো ইভিএমে ভোট হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বেশি।
দেশে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সাভারে ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৮ জন।
এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন তিন জন। আওয়ামী লীগের আবদুল গনি ছাড়া রয়েছেন বিএনপির রেফাত উল্লাহ ও ইসলামিক পার্টি বাংলাদেশর মোশাররফ হোসেন। তবে ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল গনি ও রেফাত উল্লাহ।
পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে সাত থেকে আট জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য।