রাত পোহালেই ভোট হবে চান্দিনা পৌরসভায়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হবে একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে।
পৌরসভা নির্বাচানের দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লা জেলায় শুধু এই পৌরসভায় ভোট হচ্ছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও রয়েছেন ভোটের মাঠে।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শওকত হোসেন ভূইয়া, বিএনপির প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র শাহ্ মো. আলমগীর খাঁন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির জামশেদ আহম্মদ জাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কাজী রেজাউল করীম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী শামীম হোসেন।
নির্বাচনে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৪০ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে সাত জন।
চান্দিনা পৌরসভা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন, বিএনপির আলমগীর খাঁন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেনের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। ৮ জানুয়ারি প্রচার শুরুর দিন থেকেই মাঠে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু সিআইপি।
চান্দিনার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য বেশ কয়েকটি উঠান বৈঠক করেছেন। জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ভোটের মাঠে সরব ছিলেন শওকত হোসেনের জন্য।
শুরু থেকে এক প্রকার নীরবে প্রচার চালিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আলমগীর খাঁন। অবশ্য শেষ দিকে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন তিনি ও তার সমর্থকরা।
প্রচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই আলোচনায় ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন। তার জন্য মাঠে নেমেছিলেন সাবেক মেয়র আবদুল মান্নান সরকারও। সব মিলে চান্দিনা পৌরসভার অতীতের যে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর চেয়ে বেশি আলোচিত তিনি।
শুক্রবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও পৌর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আহসান হাবীব জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচন ঘিরে দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাব-১১ এর তিনটি টিম, আনসারের ১৩৫ জন সদস্য কাজ করবেন। এছাড়া এবারই প্রথম রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ সদস্য নির্বাচনে কাজ করছেন।
ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৮৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৪.২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ৫৫ হাজার ৯০০ জন। ভোটার ৩১ হাজার ৮৪৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৬৭৮ জন, নারী ১৬ হাজার ১৭০ জন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানিয়েছেন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করবেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচ জন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারও থাকবেন ভোটের মাঠে।
‘১৫টি কেন্দ্রের সবকটিকেই ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিয়ে আমরা কাজ করছি’, বলেন তিনি।