শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মান্নান হাওলাদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল বাশার চোকদারের প্রচারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় আবুল বাশারের স্ত্রীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
পৌরসভার পূর্ব গৈড্ডা এলাকায় নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন হান্নান মুন্সি, ফয়সাল সরদার, শামীম চোকদার, নাসিমা আক্তার, পাখি আক্তার, রিজিয়া আক্তার, সুলতানা আক্তার, নাসরিন আক্তার, মোহাম্মদ আলী শিকদার ও আবু রায়হান অর্ণব নামে এক সাংবাদিক।
আহতদের মধ্যে হান্নান মুন্সী ও ফয়সাল সরদারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভেদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিদ্রোহী প্রার্থীর স্ত্রী আফরিন মিতু জানান, শুক্রবার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গৈড্ডা এলাকায় সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে যান তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সর্মথকরা তাদেরকে ওই স্থান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে প্রচারে হামলা চালানো হয়।
মিতু অভিযোগ করেন, হামলার সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আবার প্রচার চালালে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
এ বিষয়ে আবুল বাশার চোকদার অভিযোগ করেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অশ্রু হাওলাদার, সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক হিরু সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন এ হামলা চালায়।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য তাকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও থানায় বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছেন বলেও জানান বাশার।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘আবুল বাশার চোকদারের স্ত্রী বহিরাগত নারীদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। এজন্য তাদেরকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলা হয়।’
‘ওই সময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমার সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমার পক্ষের এক জন আহত হয়েছে।’
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম রশিদুল বারী জানান, সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
তৃতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ভোট ৩০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ জানুয়ারি থেকেই প্রচারে নামেন প্রার্থীরা।