এক দিন পর ৬০টি পৌরসভায় ভোট হতে যাচ্ছে, সেগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, ভোট সুষ্ঠু না হলে তারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
জনগণের রায়ের আগের দিন শুক্রবার তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এ কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট রাত পোহালেই। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা নেয়া হবে ভোট। গত কয়েকদিন উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের প্রচার চালিয়েছেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
সরকারকে ‘ভয়ঙ্কর আত্মহননের পথ’ থেকে সরে এসে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করা হবে।’
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ভোট হয়েছে ২৪টি পৌরসভায়। দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেয়া গেছে। এর মধ্যে কারচুপির অভিযোগে তিনটি পৌরসভায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা, একটির ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাকিগুলো নিয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি, যদিও বিএনপির কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে স্থগিত হয়েছে ভোট।
এবারের ভোটের প্রচারে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ের তুলনায় প্রচারে অনেক বেশি মনযোগী ছিলেন। হাতে গোনা দুই একটি ছাড়া কোথাও বিএনপির প্রার্থীরা বড় ধরনের অভিযোগও করেননি।
ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করে দিয়েছে। ধ্বংস করা মূল উদ্দেশ্য তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’