বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাধবপুরে কাঁটায় বিদ্ধ আ. লীগ, বিএনপিতে ঐক্য

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৫

এই পৌরসভায় কখনও নৌকার বাইরে অন্য কোনো প্রতীক জেতেনি। তবে ক্ষমতাসীন দলের তিন জন নেতা প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগাভাগির সুফল নিতে চাইছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শক্তি নিয়ে সংশয় নেই। এলাকাটি দলের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। তারপরের শনিবারের ভোটে দলের জয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিদ্রোহীদের কারণে।

শনিবারের ভোটে নৌকা মার্কার শ্রীধাম দাশগুপ্তের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মুসলিম (জগ), গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হিরেন্দ্র লাল সাহার ছোট ভাই পংকজ কুমার সাহা (নারকেল গাছ) ও বিএনপির হাবিবুর রহমান মানিক।

প্রভাবশালী দুই বিদ্রোহী মাঠে থাকাটাই বেকায়দার কারণ আওয়ামী লীগের জন্য। অন্যদিকে একক প্রার্থী আর দলীয় ঐক্য নিয়ে বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন স্বস্তিতে।

এখানে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে বিভক্তি। যদিও পদধারী নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি। কিন্তু অনেকেই দুই জনকে সমর্থন করছেন আড়াল থেকে।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলছেন, এই এলাকায় মানুষ নৌকা মার্কাকে ভোট দেয়। কাজেই জয় তার হবে নিশ্চিত।

শ্রীধাম বলেন, ‘নৌকা প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসে তারা নৌকার বিরোধিতা করতে পারে না।

‘এখানে দুই জন নৌকার বিদ্রোহী হয়েছেন। তাদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন নির্বাচন থেকে সরে এসে নৌকায় উঠেন ‘

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পংকজ কুমার সাহা বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে প্রার্থী হয়েছি। দলের অনেক নেতাকর্মীও সঙ্গে রয়েছে।’

বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান মানিক জানান, ‘সব ধর্ম ও দলের মানুষের সম্প্রীতির জন্য এ পৌরসভার ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে কিন্তু প্রতিহিংসা নেই। এটি যেন অটুট থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নিরপক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এর মাধ্যমে যে-ই জয়ী হোক মেনে নেব। তবে সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানাই।’

১৯৯৭ সালে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মেয়র পদ আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ভোটার রয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৭ জন।

এ বিভাগের আরো খবর