শরীয়তপুর পৌর নির্বাচনে এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট হচ্ছে। তবে এই পদ্ধতি নিয়ে অনেকেই আছেন সংশয়ে। সেই সংশয় দূর করতে জেলা নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯ ওয়ার্ডের ১৮ কেন্দ্রে চলে ইভেএমে প্রতীকী ভোট গ্রহণ।
দুপুরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়,সাত জন সারিবদ্ধভাবে ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেতরে নির্বাচন কার্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইভিএমে ভোট নিচ্ছেন। তাদের অনেককেই এই পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
এই ওয়ার্ডের ভোটার লিমন ব্যাপারি বলেন, ‘আগে অনেক ভোট দিছি কিন্তু ইভিএম মেশিনে ভোট দেই নাই। এইবারই প্রথম দিলাম। অনেক কঠিন মনে করছিলাম কিন্তু দ্যাখলাম মেশিনে ভোট দেয়া সহজ। কোনো ঝামেলা নাই। হুদাহুদি ভয় পাইছিলাম। শনিবার দিন সবার আগে আইয়্যা ভোট দিমু।’
ষাটোর্ধ্ব সাইদুর রহমান পরীক্ষামূলক এই ভোটে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন ইভিএমে ভোট জটিল পদ্ধতি। কিন্তু এটা খুব সহজ। এর জন্য শিক্ষিত হতে হবে এমন না।’
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডা.আবু রুশো মুহাম্মদ তোয়াব হোসেন বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কাষ্টিং বেশি হয়। এ ছাড়া জাল বা একাধিক ভোট দেয়ারও সুযোগ নেই। যে সব ভোটার বুঝতে পারবে না তাদেরকে ভোট প্রদানের আগে বুঝিয়ে দেয়া হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করছি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, ‘আগামীকাল প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে উপকরণ পৌছে যাবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া ৪৪৭ জন পুলিশ,দুই প্লাটুন বিজিবি ও র্যবের একটি টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।’
শরীয়তপুর পৌর নির্বাচনের ভোট ১৬ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটার ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। আর কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী।