বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থককে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক জাহাঙ্গীর হোসেন। মামলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের ১৭ কর্মী-সমর্থককে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে ওই ঘটনার সময় তিন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তারা হলেন-মামলার ১২ নম্বর আসামি বাপ্পি, ১৩ নম্বর আসামি ইশতি ও ১৪ নম্বর আসামি রাসেল।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের জামাতা ও তার মেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মহসিনা মিতুলের স্বামী আরিফ হোসেন খানকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আমিনুল ইসলাম সুমন, পরান কৃষ্ণ বনিক, লিটন বনিক, জালাল ফকির, স্বপন, পবিত্র সমাদ্দার, ছগির হাওলাদার, মীর আবুল কাশেম, মো. দুলাল, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আ. ছালাম, মো. শামিম ও মো. রাজিব।
মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার রাত পৌনে বারোটার দিকে নিজ ঘরের সামনের রাস্তায়, নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় বাদী জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধাওয়া করেন অভিযুক্তরা। এ সময় তিনি নিজ ঘরে আশ্রয় নিলে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তারা। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হয়। শ্লীলতাহানির শিকার হন তার স্ত্রী। লুট করে নেয়া হয় ঘরে থাকা সোনা ও নগদ টাকা।
মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার কর্মীদের মারধর করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছু না। আমি হতাশ ও বিষণ্ণ। আমি জনগণকে সাথে নিয়ে সব বাধা মোকাবিলা করতে প্রস্তত।’
মামলা প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থীর জামাতা আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমি হতবাক। ঘটনাস্থলে থাকা তো দূরে থাক, এ ঘটনা আমি শুনেছি পরে অথচ মামলায় আমি প্রধান আসামি।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল বলেন, এ ঘটনায় আটক তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বুধবার শাহাদাত হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ।
বরগুনা পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে মোট ছয় জন।