বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারচুপির চেয়ে মৃত্যু ভালো: কাদেরের ভাই

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:০০

‘আমি কোনো কারচুপির নির্বাচন করব না। আপনাদের কাছে আমি আজকে হলফ করে বলছি, যদি পরশু দিনের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়, যদি আমি কারচুপিতে সহযোগিতা করি, তাহলে সে দিনই যেন আমার মৃত্যুর দিন হয়।’

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, তিনি ভোটে কারচুপির চেয়ে মৃত্যুকেই বেছে নেবেন।

কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারের মধ্যে তিনি তুমুল আলোচিত হয়েছেন সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নেমে।

ভোটের দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রুপালি চত্বরে সমাবেশ করেন কাদের মির্জা। বলেন, ‘আমি কোনো কারচুপির নির্বাচন করব না। আপনাদের কাছে আমি আজকে হলফ করে বলছি, যদি পরশু দিনের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়, যদি আমি কারচুপিতে সহযোগিতা করি, তাহলে সে দিনই যেন আমার মৃত্যুর দিন হয়।’

আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী সম্প্রতি তুমুল আলোচিত হয়েছেন নানা বক্তব্য দিয়ে। তিনি বলেছেন, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন/চার জন ছাড়া কোনো এমপি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না।

এমনকি নিজের ভাই ওবায়দুল কাদেরকেও সাবধান করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তার জয়ও অনিশ্চিত। ভোটে কারচুপি হলে কাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়ে রেখেছেন।

সবশেষ কাদের মির্জা অভিযোগ করেছেন, তার দলের অনেক নেতা বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।

বৃহস্পতিবার ভোটের প্রচারের শেষ দিনও মির্জা জোর দিলেন সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপরই।

তিনি বলেন, ‘আমি এক ভোট পেলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। প্রমাণ করে দিতে চাই, গণতন্ত্র কী জিনিস, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কী জিনিস।

‘আমি বলতে চাই, এই কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে। এ জন্য প্রশাসনকে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করে যাব।’

কাদেরের ভাই গত কয়েকদিনের প্রচারে ভোটারদের কোনো রকম বাধা না দিতে তার কর্মীদের শপথ পড়িয়েছেন।

শেষ দিনের প্রচারে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি, আগামী পরশুর নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো কর্মীকে রাস্তায় বাধা দেয়া হয়, এটার দায়িত্ব নোয়াখালীর ডিসি, এসপি ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’

এই নির্বাচনি এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সুষ্ঠু ভোটে নিয়ে শঙ্কার কথা বললেও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিন্তু এ নিয়ে কোনো কথা বলছেন না।

বিএনপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসাইনের ভোটের পরিবেশ নিয়ে আপত্তি তো নেইই, বরং বাংলাদেশে বিরোধীদের মধ্যে যে ঢালাও অভিযোগের প্রবণতা আছে তার বিপরীতে গিয়ে তারা বলছেন, এলাকায় নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে।

ভোট সুষ্ঠু না হলে প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করার কথাও বলেন কাদের মির্জা। বলেন, ‘আপনাদের তো স্বভাব ১২টার পর বর্জন করা, সিলেটেও আপনারা ১২টার সময় নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। কোথাও কোনো কারচুপি হলে আমাকে জানাবেন, জনগণকে নিয়ে সেখানে ভোট বন্ধ করে দেব।

‘প্রশাসন বন্ধ করবে না। তারা ম্যানেজ হয়ে গেছে। আমি ভোট বন্ধ করে এখানে এসে আন্দোলন শুরু করব।’

এলাকায় ভোট বানচাল করতে অস্ত্র পাঠানো হয়েছে অভিযোগ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলেছি অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য। অদৃশ্য কারণে কিছুই হচ্ছে না।

‘কষ্ট লাগে নোয়াখালী কে চালাচ্ছে? এটা কি রাজনীতি? অস্ত্রের ঝনঝনানি কোম্পানীগঞ্জে চলবে না, চলতে দেওয়া যাবে না’, বলেন নৌকা মার্কার প্রার্থী।

এটা স্পষ্ট যে, কাদের মির্জার অভিযোগ নিজ দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। আর তারা তার নির্বাচনি এলাকারও না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের জন্য নোয়াখালীর এমপি, ফেনীর এমপি এক কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। এখানে শুধু আমার বিরুদ্ধে নয়, আমার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও চক্রান্ত চলছে। ভোটারদের টাকা দিচ্ছে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে।’

গত ১২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নির্বাচনি এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাননি। এ নিয়ে আফসোসের কথাও বলেন কাদের মির্জা।

বলেন, ‘আমি আশায় বুক বেঁধেছিলাম, এই লোকটার কাছে মনের কথাগুলো বলব। তিনি আসলেন না। কেন আসলেন না?’

সমাবেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর