নরসিংদীর মনোহরদীতে পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মনোহরদী হিন্দু পাড়ায় বুধবার রাত ১০টার দিকে বর্তমান মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের উঠান বৈঠকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হকের প্রাইভেটকারসহ সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়।
মেয়র প্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজনের অভিযোগ, পূর্ব নির্ধারিত উঠান বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর নেতৃত্বে হামলা হয়। এতে তার ছোট ভাই তন্ময়, বড় ভাই মামুন, কর্মী বিটন, সাম্মীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের প্রাইভেটকার
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার পরপর খবর পেয়ে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ দুই থেকে তিন জন আহতের খবর পেয়েছে।
ওসি আরও জানান, মেয়র পক্ষের লোকজনও কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা করেছে। তবে কেউই এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মেয়র প্রার্থী সুজনের অভিযোগ, মন্ত্রীর ছেলে সাদী যে চার জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন তারা সবাই মাদকসেবী ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এই প্রার্থীদের সমর্থন দেয়ার জন্য সাদী তাকে চাপ দিলেও তিনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এ কারণেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সাদীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।