খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ভোট গ্রহণের আগে চলছে মক ভোটিং। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে এই পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইভিএমে ভোট দেয়া ভোটারদের কাছে নতুন হওয়ায় মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলেছে এ ভোট গ্রহণ। এ ভোটে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের প্রশ্ন, সংশয় দূর হবে বলে আশা করছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে উৎসাহী হবে বলেও ধারণা তাদের।
দেশে দ্বিতীয় দফা পৌরসভার নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সকালে পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচনি কর্মকর্তারা কেন্দ্রে ইভিএমের সরঞ্জাম স্থাপন করছেন। আর মক ভোট দিতে যারা আসছেন তাদের ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
মক ভোট দেয়ার পর ভোটাররা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদান সহজ ও এতে জাল ভোট দেয়ার সম্ভাবনা নেই।
খাগড়াছড়ির মুসলিম পাড়া কেন্দ্রে মক ভোট দিতে আসেন মো. নুর নবী। তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা ভোটার নম্বর দিলেই নিজের ছবি সহ জাতীয় পরিচয়পত্রের চিত্র কর্মকর্তাদের মনিটরে ভেসে ওঠে। আঙুলের ছাপ দেয়ার পর, গোপন কক্ষে ভোট দিতে হয়।
একই কেন্দ্রের ভোটার আবদুল মান্না জানান, একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দিতে পারেন না ইভিএমে। দ্বিতীয়বার ভোট দিতে চাইলে মেশিনে দেখায় ভোটার ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মক ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন, সংরক্ষিত তিনটি নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও আটটি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি সাধারণ কাউন্সিলর পদে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।