বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় তিন জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর তিন সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১২টার দিকে বরগুনা পৌরসভার স্টেডিয়ামের পাশের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সন্ধ্যায় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় তিন জন আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট মো. শাহজাহান জানান, ৩০ জানুয়ারির বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের সমর্থকরা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আশ্রয়নের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। তারা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজের সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর ও তাদের মারধর করে। এ সময় তিন জন আহত হন।
আহত জাহাঙ্গীর, আসলাম ও হুমায়ুনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় আটক বাপ্পি , রাসেল ও ইশতিকে বরগুনা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় আমার পোস্টার ছিড়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিল নৌকা সমর্থকরা। খবর পেয়ে আমার কয়েকজন সমর্থক সে দৃশ্য নির্বাচন কমিশনকে দেখানোর জন্য ভিডিও ধারণ করতে যায়। তখন নৌকা সমর্থকরা আমার সমর্থকদের মারধর করে। আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়।’
কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা, আহত তিন
বুধবার সন্ধ্যায় বরগুনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী কবিরুর রহমান ও তার তিন কর্মী আলাদা দুটি মোটরসাইকেলে খাড়াকান্দা সড়ক থেকে বরগুনা সদর বাজারে আসছিলেন। পথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৌহিদ মোল্লার সমর্থকরা হামলা করে। হামলায় কবিরুরের কর্মী জলিল, আইউব ও সেন্টু আহত হয়। আহতরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন।
ওসি শহিদুল জানান, হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী কবিরুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলছে।