কোনো সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় রাজশাহী বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় ভোটের জন্য দুটি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে খোলা জায়গায়। এর মধ্যে একটি ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে আমবাগানে।
পৌরসভা নির্বাচনের আর বাকি দুই দিন। রাজশাহীতে এই ধাপে নির্বাচন হচ্ছে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট, বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায়।
প্রস্তুত সেখানকার ভোট কেন্দ্রগুলো। এর মধ্যে আড়ানীতে দেখা গেল খোলা জায়গায় কাপড় টানিয়ে তৈরি করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র।
এর একটি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদকুড়া ঈদগাহ ময়দানে ও আরেকটি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাপুর এলাকার একটি আমবাগানে।
সেখানে গিয়ে দেখা গেল, টিনের ছাউনির পাশে ডেকোরেটরের কাপড় টাঙিয়ে তৈরি করা হয়েছে কেন্দ্রদুটি।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি বা বেসরকারি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।‘
‘এ কারণে আমবাগান ও ঈদগাহ মাঠে ডেকোরেটরের কাপড় টাঙিয়ে অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধান, ওয়ার্ডের মধ্যেই কেন্দ্র তৈরি করে ভোট নিতে হবে।‘
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্র দুটির প্রত্যেকটিতে প্রিসাইডিং অফিসারের জন্য একটি আলাদা কক্ষ রেখে চারটি করে বুথ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি পুরুষ ও দুটি মহিলা বুথ।
হামিদকুড়া ঈদগাহ ময়দানের কেন্দ্রটি চারদিকে ইটের প্রাচীর দিয়ে রক্ষিত। তবে শাহাপুরে আমবাগানের কেন্দ্রটি কেবল কাপড় দিয়ে মোড়ানো। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়েছে পাশের বাড়ি থেকে।
এমন খোলা জায়গায় ভোট দেয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানালেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হাছেন আলী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আয়নাল হক।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের মো. শহীদুজ্জামান, বিএনপির তোজাম্মেল হক, বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রিবন আহমেদ।