ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে আট নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে এক প্রার্থীর ভাই নিহতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের প্রথম প্রহরে কুমার নদ থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর খান বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আগে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর খান বাবুর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শওকত আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী বল্টু।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি মার্কায় লড়ছিলেন আলমগীর খান বাবু।
নির্বাচনের দুই দিন আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে ওয়ার্ডের কবিরপুর এলাকায় তার সমর্থকদের সঙ্গে ডালিম মার্কার প্রার্থী শওকত আলীর সমর্থকদের ওই সংঘর্ষে আহত হন আরও চার জন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রচার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে শওকত আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী বল্টুসহ পাঁচ জন আহত হন। বল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে বলে জানান ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম।
পাঞ্জাবি মার্কার প্রার্থী আলমগীরের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘর্ষে বল্টুর প্রাণহানির পর গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। এজন্য দুজন সঙ্গীকে নিয়ে হেঁটেই কুমার নদ পার হচ্ছিলেন আলমগীর। এক পর্যায়ে সঙ্গীরা নদের ওপারে পৌঁছলেও খোঁজ মিলছিল না তার। পরে নদের পানিতে ভাসতে দেখা যায় আলমগীরের মরদেহ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাড়ে ১২টার দিকে নদে আলমগীরের লাশ ভেসে থাকার খবর পাই। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার মর্গে পাঠানো হবে। এর পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’