চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ৫৬ পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন গত ৩ জানুয়ারি চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৬ পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (ভ্যালেন্টাইন ডে) এসব পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৭ জানুয়ারি। বাছাই হবে ১৯ জানুয়ারি ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জানুয়ারি।
৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী যারা
রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈল পৌরসভায় মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভায় মোফাজ্জল হোসেন ও পাটগ্রাম পৌরসভায় রাশেদুল ইসলাম সুইট।
রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাইয়ে রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটায় হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ীতে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোরে ইমরুল হক, তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, নাটোরের বড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়ন এবং নাটোর পৌরসভায় উমা চৌধুরী।
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির গনু, যশোরের চৌগাছায় নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়ায় কামুরজ্জামান, বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট পৌরসভায় খাঁন হাবিবুর রহমান ও সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভায় শেখ নাসেরুল হক।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর কলাপড়ায় বিপুর চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের মুলাদীতে শফিকউজ্জামান ও বানারীপাড়া পৌরসভায় সুভাস চন্দ্র শীল।
ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলের গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা, কালিহাতিতে মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুরে আ. কাউয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জে মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আবদুস ছালাম, নরসিংদী জেলার নরসিংদী পৌরসভায় আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভায় মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুরের কালকিনিতে এস. এম. হানিফ এবং শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কামাল উদ্দিন আহমদ।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌরসভায় শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর জেলার শেরপুর পৌরসভায় গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শ্রীবরদীতে মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরে শশধর সেন এবং নেত্রকোণা পৌরসভায় নজরুল ইসলাম খান।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার কানাইঘাট পৌরসভায় লুৎফুর রহমান ও হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পৌরসভায় নাইম ইউসুফ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনীর পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়িতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশে মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটির রাঙ্গামাটি পৌরসভায় আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবনের বান্দরবন পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।
নির্বাচন কমিশন এবার ধাপে ধাপে দেশের প্রায় ৩০০ পৌরসভায় নির্বাচন করতে চায়।
প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪ পৌরসভায় ভোট হয়েছে। এক মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে প্রথম ধাপের এক পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা ১৬ জানুয়ারি। আর ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ভোট হওয়ার কথা ৬৪ পৌরসভায়।